স্কলাস্টিকার মীর সামিহ মুবাশ্বের গুলশানের জঙ্গি হামলাকারীর একজন

গুলশানের  হলি আর্টিজান বেকারিতে যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, সেখানে যে সকল  দেশী, বিদেশীদের গলা কেটে হত্যা করেছে সেই হামলার সঙ্গে জড়িত নরপশুদের পরিচয় বের করতে সক্ষম হয়েছি।

যে মানুষটির কাছ থেকে খবর পেয়েছি নাম প্রকাশ না করার শর্তে  আমি এই লেখাটি  লিখছি। তার নিরাপত্তার কথা ভেবেই নাম বলছি না। আমি বার বার জিজ্ঞেস করেছিলাম পরিচিত মহলে এবং সকল সন্দেহ দূর করে এই তথ্য হাতে পেলাম। এই ছেলেটির নাম মীর সামিহ মুবাশ্বের। স্কলাস্টিকাতে পড়াশোনা করত। যারা ওই স্কুল এ পরত আমার পরিচিত তাদের মধ্য থেকে একজন জানাল ওর কাজিনের সাথে এক সঙ্গেই পড়ে এই মুবাশ্বের। একই ক্লাশে পরার জন্য এক সহপাঠী আর এক সহপাঠীকে চিনবে এটাই স্বাভাবিক।  তাই মুবাশ্বের কে চিনতে কষ্ট হয়নি একদম। আরও বলে এই ছেলে নাকি মার্চ মাস থেকে নিখোঁজ হয়েছিল। এ লেভেল পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল কিন্তু পরিক্ষার আগে থেকেই নিখোঁজ হয় মুবাশ্বের। ঢাকার গুলশানের জঙ্গি হামলায় যে ছবি প্রকাশিত হয় , সেই ছবি দেখেই তারা বুঝতে পেরেছিল এই সেই মুবাশ্বের যে নিখোঁজ হয়েছিল। মুবাশ্বের ও তার পরিবার গুলশানের বাসিন্দা। শেষবার গুলশান ১১ তে দেখেছিল মুবাশ্বের। পর পর নিখোঁজ হবার আগের আর হামলার পরের ছবি দিলাম। নিখোঁজের আগে ছবিতে মুবাশ্বের কে একটু মোটা লাগছে কিন্তু অনেক মিল পাওয়া যায় দুই ছবির মধ্যে। মার্চ থেকে যদি  মুবাশ্বের মিসিং থাকে এবং ৩ মাসের এই সময়ের মধ্যে  জঙ্গি হবার ট্রেনিং এ শারিরীক এই গড়ন হওয়া অসম্ভব কিছু না। আমি মুবাশ্বের কে নিয়ে লিখলাম কারন যে সুত্র থেকে কনফার্ম করেছে ওটার ভিত্তিতেই লিখেছি। মানব জমিন পত্রিকার করা রিপোর্টের সাথে একটু মিলিয়ে দেখুন। আরও পরিষ্কার হবে ব্যাপারটা।

111মানব জমিনের করা রিপোর্ট টা ছিল ঠিক এই রকম। http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=4618

সাত দিনেও খোঁজ মেলেনি স্কলাস্টিকার ছাত্র মোবাশ্বিরের

রাজধানীর গুলশান থেকে নিখোঁজ হওয়া স্কলাস্টিকা স্কুলের ছাত্র মীর সামিহ মোবাশ্বিরের খোঁজ মেলেনি। ঘটনার সাত দিন পেরিয়ে গেলেও পরিবারের সদস্যরা জানতে পারছে না সামিহ’র খবর। সে নিজেই আত্মগোপনে গেছে নাকি তাকে কেউ অপহরণ করেছে তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, পুলিশ তাদের বলেছে তারা চেষ্টা করছে। পুলিশ কর্মকর্তারাও বলছেন, তারা সামিহ’র অবস্থান জানা ও উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ছেলেটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্কলাস্টিকা স্কুল থেকে সম্প্রতি ও-লেভেল সম্পন্ন করেছে মীর সামিহ মোবাশ্বির। এ লেভেলে ভর্তি হওয়ার জন্য সে গুলশানের এমিনেন্স কোচিং সেন্টারসহ দুটি কোচিং সেন্টারে পড়ছিল। পরিবারের সঙ্গে সে বনানী ডিওএইচএসের ৫ নম্বর সড়কের ৬৮/এ বাসার ৫/বি ফ্ল্যাটে থাকতো। গত ২৯শে ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টার দিকে সে কোচিংয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়িতে করে বাসা থেকে বের হয়। যানজট থাকায় কোচিং সেন্টারের আগেই গাড়ি থেকে নেমে যায়। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাড়িচালক জুয়েল তাকে কোচিং থেকে আনতে গেলে তাকে আর পাওয়া যায়নি। পরে সামিহ’র বাবা মীর এ হায়াত কবীর ওই দিনই গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর ১৮৪৮) দায়ের করেন। পুলিশ সামিহ’র খোঁজ করতে গিয়ে গুলশান এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পান সামিহ গাড়ি থেকে নামার পর একটি রিকশা নিয়ে বনানীর ১১ নম্বর সড়কের দিকে চলে যাচ্ছে। ওই জিডির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই নাজমুল জানান, তারা ছেলেটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। কিন্তু ঘটনার দিন বিকাল ২টা ৫৫ মিনিট থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে। আমরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।
স্বেচ্ছায় বাসা থেকে বেরিয়ে গেছে বলে একটি সূত্র দাবি করেছে।  সম্প্রতি সে ধর্মীয় উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি।

 

 

 

One comment

  1. Our jihaidst brothers are self-martyrd, don’t underestimate them. We are commnitted for the fight against all Cruseders. Countdown has begun.

    Like

Leave a comment